শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:৫৪

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
পানি যেন আমাদের আশির্বাদ হয়, সেই পরিকল্পনা দরকার : প্রধানমন্ত্রী

পানি যেন আমাদের আশির্বাদ হয়, সেই পরিকল্পনা দরকার : প্রধানমন্ত্রী

dynamic-sidebar

নিজস্ব প্রতিবেদক :: পানি যেন মানুষের ক্ষতির কারণ না হতে পারে সেভাবে সব পরিকল্পনা নেওয়ায় গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার বিশ্ব পানি দিবস ২০১৯- এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “পানি আমাদের যেমন অধিকার, পানির অপর নাম জীবন। আবার পানি অনেক সময় আমাদের সর্বনাশের পথে নিয়ে যায়। যেটা আমাদের দেশে আমরা দেখি নদী ভাঙনে। বহু মানুষ নিঃস্ব হয়ে যায়, ঘরবাড়ি সব কিছু শেষ হয়ে যায়।

“পানি আমাদের যেন ক্ষতি করতে না পারে, পানি যেন আমাদের আশীর্বাদ হয়। সেভাবে আমাদের সব পরিকল্পনা নেওয়া একান্ত প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।”

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নদী রক্ষায় সবাইকে যার যার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আহ্বানও জানান।

নদী দখল এবং দূষণ রোধে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা বলেন শেখ হাসিনা।

নদীগুলোকে বাংলাদেশের সম্পদ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “নদীগুলোর পানি পচে এমন দুর্গন্ধ। আমি বেশিদূর যাব না। বুড়িগঙ্গার কথাই বলি.. এমন দুর্গন্ধ। কিন্তু এটা কেন হবে।

“এটা নিয়ে আমরা একটা কমিটি করে দিয়েছি। নদীগুলো উদ্ধার করা, পাড়গুলো উদ্ধার করা এবং সেই সাথে কেউ যেন বর্জ্য ফেলতে না পারে। সেইভাবে সুয়ারেজ সিস্টেমগুলোকে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে পরিশোধিত করে দেওয়া। সেটাও আমরা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।”

গাছ লাগানোর প্রয়োজনীয়তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়কে বলব, শুধু নদীর ড্রেজিং করলেই হবে না সাথে সাথে আমাদের সেখানে বৃক্ষরোপরেণর ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কিছু গাছ আছে, লাগালে মাটিটা শক্ত করে ধরে রাখে।

“আর নদী ড্রেজিং করে পলিটা যেন নদীতেই না ফেলা হয়। ছোট ছোট পকেট সৃষ্টি করে সেখানে ফেলে আস্তে আস্তে ওটাই ব্যবহার করে আমরা অনেক ভূমিও উত্তোলন করতে পারব। এখানে আমাদের শিল্পায়ন হতে পারে। কৃষি হতে পারে, বসতি হতে পারে।”

ভাঙন থেকে রক্ষায় এক জায়গায় দীর্ঘদিন বালু মহাল না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জনান প্রধানমন্ত্রী।

“আমাদের নদীতে বিভিন্ন জায়গায় বালু মহাল আছে। দুর্ভাগ্য হল আমি একটা হিসাব নিয়ে দেখলাম যে সেই হয়ত ৩০, ৪০,৫০ বছর আগে যেখানে বালু মহাল গড়া হয়েছিল সেখানে এখন বালু মহাল। এতে আস্তে আস্তে মাটির শক্তিটা কমে যাচ্ছে। পাড় ভাঙছে, ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে।

“ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এক জায়গায় বেশিদিন করা যাবে না। বালু মহালগুলো ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে করতে হবে। যাতে করে ওই অঞ্চলটা ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পায়।”

নদী রক্ষায় সরকারের গ্রহন করা বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের পাশাপাশি ভূউপরস্থ পানি ব্যবহার করা ও ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার না করার দিকেও সরকার বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছে বলে জানান তিনি।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন, প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net